সারা অঙ্গে ঘা-ওষুধ দেবো কোথা- এমন অবস্থার মুখে পড়েছে সরকার। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই অর্থবিত্ত, সম্পদের পাহাড় জমানো কর্তাদের মুখ। কাকে রেখে কাকে ধরবে? নাকি গণহারে সবাইকে ক্ষমা?
সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ,আলোচিত সরকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান, কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল, ময়মনসিংহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডিডি ফারজানা পারভিন, রাজবাড়ির সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাবুবুর রহমান ও ভালুকা মডেল থানার সাবেক ওসি মাহামুদুল ইসলাম, মাউশি’র ডিডি আব্দুল আজিজের মতো দুর্নীতির পথে হেঁটে সম্পদের চূড়ায় উঠেছেন আরেকজন। তিনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার। শুধু শামসুদ্দোহা একা নন, তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও দুর্নীতির ছায়ায় সম্পদে হয়েছেন শক্তপোক্ত। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বলছে, এ দম্পতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পদের মালিক।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ২৭ শতক জমি আছে তাদের নামে। দলিলে এসব জমির দাম ৭০ কোটি টাকা দেখানো হলেও আদতে বাজারদর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। গত ১৮ মার্চ আদালত তাঁর এসব সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দেন। পরদিন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে ওই আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। শামসুদ্দোহা খন্দকার চাকরিজীবনে শুধু সম্পদের শিখরে উঠে দমে যাননি রাজধানীর বনেদি এলাকা গুলশানে অন্তত ২০০ কোটি টাকা দামের সরকারি জমি ও বাড়ি নিজের করে নিতে রকমারি কূটকৌশল চালাচ্ছেন। তাঁর প্রতাপের কাছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কিংবা আবাসন পরিদপ্তরও যেন ‘ঠুঁটো জগন্নাথ। শামসুদ্দোহা ২০১১ সালে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে বসে সীমাছাড়া দুর্নীতিতে জড়ান। এ পটভূমিতে ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা ঠুকে দেয় দুদক। ওই মামলায় স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানাও আসামি। মামলাটি এখনও চলমান। বিস্তারিত———