১৩ আগস্ট ২০২৪,
পুলিশসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান -গুলোকে যারা দানবে পরিণত করেছে তাদের বিচার হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি হাসপাতালে ছাত্র আন্দোলনে আহত বিজিবি সদস্যদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা প্রত্যেকটা ইন্সটিটিউশন ধ্বংস করেছে…বিজিবি, পুলিশ, আনসার, র্যাবের মতো ন্যাশনাল ফোর্সকে দানব বানিয়েছে তাদের বিচার হবে। দেশি ও আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের দাঁড় করানো হবে।’
অনেক পুলিশকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ নিজেরা বলেছে, আমরা লজ্জিত। আমার সাথে এই কয়দিন লম্বা নেগোসিয়েশন হয়েছে…ওরা বলেছে, আমরা ওই পথে যাই নাই দেখে আমাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে… অন্যায়ভাবে বের করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবিকে পিঠ দেখাতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের আর পিঠ দেখিয়ে থাকতে হবে না। প্রতিটি হত্যার পর বিজিবিকে সীমান্তে পতাকা বৈঠক করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই’
এ সময় বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিকটস্থ থানায় লুট হওয়া অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অস্ত্র জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর যদি জমা দেয়া না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ২ রকম আইনি ব্যবস্থা হবে। প্রথমটি হলো নিষিদ্ধ অস্ত্র ছিনতাইয়ের দায় আর দ্বিতীয়টি হলো অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা।
১৫ আগস্টে যাতে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে এজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। আর এদিন ছুটির বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানান তিনি।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের বর্ডার গার্ড হাসপাতালে আসেন। এসময় তিনি সাম্প্রতিক ঘটনায় আহত বিজিবি সদস্য এবং আন্দোলনে আহত হয়ে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
এসময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিজিবি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়ের পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, ওএসপি, বিএসপি, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি, এমফিল সহ বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।