মৌলভীবাজার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পাতাকুড়ি দেশ পত্রিকার অনলাইন ভার্শনে বিগত ১৭ আগস্ট মিরপুর মাদরাসা নিয়ে বিরোধের জেরে ১০জন আহত শিরোনামে এবং অন্যান্য প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
প্রকৃত ঘটনা হলো ১৬/৮/২০২৪ ইং দুপুর আনুমানিক ১২.৩০টায় মিরপুর হোসাইনিয়া মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদে মাওলানা আসাদ আল হোসাইন জোড়পূর্বক মসজিদ মাইক ব্যবহারের কারণে প্রতিবাদ করায় আসাদ আল হোসাইন ও তার অনুসারীরা দেশীও অস্র নিয়ে মুসল্লীদের উপর হামলা করে।
এতে রক্তান্ত যখম হন মাদরাসার সহ সভাপতি ও ভূমিদাতার ছেলে মাওলানা জুবায়ের আহমদ, জুনেদ জামান, ছালেহ আহমদ, এবং তায়েফ আহমদ ও সাদী আহমদ। মাওলানা আসাদ আল হোসাইন উল্লিখিত মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হইলেও তিনি একজন প্রতারক, আত্মসাৎকারী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।
উল্লেখিত মাদরাসার (বিভিন্ন ব্যক্তির অনুদানের টাকা) প্রায় ১৫,০০,০০০ (পনেরো লক্ষ টাকার অধিক আত্মসাৎ করিলে মাদরাসার মসলিসে শুরা কমিটির সদস্য খিজির মুহাম্মদ জুলফিকার, আসাদ আল হোসাইনের বিরোদ্ধে দ. বি. ৪০৬ ধারায় সি আর ১৬৭/২৪ ইং মামলা দায়ের করিলে তাহা ১নং আমল আদালত মৌলভীবাজারে বিচারাধীন আছে।
উক্ত মামলা করার কারণে আসাদ আল হোসাইন ও তার চাচা মুজিবুর রহমান, ভূমিদাতার ছেলে ও সহ সভাপতি মাওলানা জুবায়ের আহমদকে মোবাইলে গুম করার হুমকি দিলে, জুবায়ের আহমদ বাদী হইয়া মুজিবুর রহমান ও আসাদ আল হোসাইনের বিরুদ্ধে ২৪/৩/২০২৪ ইং তারিখে মৌলভীবাজার মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি নং ১৪৩৯ তাং ২৪/৩/২০২৪ ইং দায়ের করিলে, উক্ত বিষয়ে তদন্তক্রমে নন জিআর ২৩/২০২৪ ইং মূলে মাননীয় আদালতে বিচারাধীন আছে।
উক্ত নন জি আর ২৩/২০২৪ মামলা হইতে আসাদ আল হোসাইন জামিনে গিয়া আমাদের উপর আক্রোশান্বীত হয়ে উঠে। উক্তাবস্থায় ঘটনার তারিখে জুম্মার নামাজের জন্য আমি ও আমার ভাই ভাতিজা ঘটনাস্থল মসজিদে যাই।
মসজিদে নির্ধারিত ইমাম সাহেব নামাজের পূর্বে কিছু ধর্মীয় বক্তব্য প্রধান কালে হঠাৎ আসাদ আল হোসাইন তার দলীয় লোকজন দা, লাঠি, রড়, জিআই পাইপ ইত্যাদি নিয়া মসজিদে প্রবেশ করিয়া ইমাম সাহেবের নিকট হইতে মাইক নিয়া তিনি নিজে বক্তব্য শুরু করেন।
এক পর্যায়ে আমাদেরকে উদ্দেশ্য করিয়া বিরোপ মন্তব্য শুরু করিলে আমরা এর প্রতিবাদ করা মাত্রই আসাদ আল হোসাইনসহ অপরাপর তার অনুসারীদের নির্দেশ দেন আমাদেরকে প্রাণে মারার জন্য। এতে আমার ভাই, ভাতিজা ও অন্যান্য মুসল্লী রক্তাক্ত যখম হন।
এ ব্যপারে মৌলভীবাজার মডেল থানায় যখমী মাওলানা জুবায়ের আহমদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোধিত, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মাওলানা আসাদ আল হোসাইন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন।
প্রতিবাদকারী
খিজির মুহাম্মদ জুলফিকার
(ভূমিদাতার ছেলে)
সদস্য, সাধারণ কমিটি, মিরপুর হোসাইনিয়া মাদরাসা
সাকিন: মিরপুর, থানা ও জেলা: মৌলভীবাজার।