ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নে রাকিব নামের এক যুবককে রাতের আঁধারে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন করে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। পরিবারের অভিযোগ রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্য তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর অজ্ঞান হয়ে গেলে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। রাকিব বর্তমানে তজুমদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বুধবার রাতে শম্ভুপুর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের গোলকপুর আলিম মাদ্রাসার পাশে এই ঘটনা ঘটে।
পরিবারের অভিযোগ ও ঘটনাসূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন ধরে গোলকপুর গ্রামের আছর উদ্দিন ফরাজি বাড়ীর বাবুল এবং তার ছেলের সাথে একই এলাকার মোঃ ইউনুসের ছেলে রাকিব এর বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষ একাধিক বার শালিস মীমাংসায় বসলেও বিষয়টি অমিমাংসিত থেকে যায়। ঘটনার দিন রাকিব স্থানীয় বাজার মুচিবাড়ির কোনার উত্তর পাশে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রসাব করতে গেলে রাতের আঁধারে কয়েকজন মিলে হাত মুখ বেঁধে রাকিবকে পানির টাংকির দিকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি এক প্রত্যক্ষদর্শী বাজারে এসে জানায়। পরে আত্মীয় স্বজন ও বাজার ব্যবসায়িরা মিলে প্রায় দুই ঘন্টা খোজাখুজি করে রাত ১২ টার দিকে তাকে নীরব মেম্বার বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে অজ্ঞাত অবস্থা পায়। পরে উদ্ধার করে রাকিবকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাকিবের বড় ভাই ইব্রাহিম বলেন, যারা আমার ভাইকে তুলে নিয়েছে, তাদেরকে চিনতে পেরেছি। নির্যাতনে অজ্ঞান হলে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। টাকা নিয়েছে, নির্যাতন করেছে দুঃখ করিনা ভাইকে জীবিত পেয়েছি এই জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।