অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
দীর্ঘদিন যাবত বিআরটিসি যাত্রাবাড়ী ডিপোটি নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে যায়গাটি তৎকালীন সময়ে দখল পূর্বক গড়ে তোলে এই বিআরটিসি বাস ডিপো । এমতাবস্থায় সরেজমিনে অনুসন্ধানী সংবাদকর্মীদের একটা টিম দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে উক্ত বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত নিয়ে আমরা কয়েকটি পর্বে তুলে ধরবো উক্ত যায়গাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া ঘটনার আদ্যোপান্ত ।
অবৈধ ব্যক্তি মালিকানাধীন যায়গা অধিগ্রহণ না করেই দখলকৃত যায়গায় গড়ে উঠেছিল বিআরটিসি ডিপো ।
বর্তমান যাত্রাবাড়ী বিআরটিসি ডিপোটি যে যায়গায় অবস্থিত উক্ত যায়গাটি ১ম ৫/১২/২০১৬ ইং উপসচিব মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশের ফোর্স টিম নিয়ে দখলে নেয়। তখনো উক্ত যায়গা দুইটি মামলা চলমান যার মামলা নং যথাক্রমে ৪২২৫/২০১০ ও ৯১৯৬/২০১১ ।
তৎকালীন সময় ২৭ শে আগষ্ট ২০১৪ ইং উক্ত দখলকৃত যায়গায় চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল মহামান্য হাইকোর্ট এর পক্ষ থেকে।
এখানে একটি প্রশ্ন কোন ক্ষমতার বলে তৎকালীন সময়ে উপসচিব জনাব মিজানুর রহমান হাইকোর্টের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রুল জারি সত্ত্বেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত যায়গাটি দখল করেছিলেন এবং উক্ত যায়গা দখলের নেপথ্যে কারা ইন্ধন যুগিয়েছে আমরা অচিরেই তাদের তুলে ধরবো জাতীয় পর্যায়ে ।
এখানে আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মিজানুর রহমানের উক্ত দখল অবৈধ মর্মে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক স্মারক নং-১৮২৩২/২০১৭ ডাইরেক্ট মেইনটেনেন্স স্ট্যাটাস কোঃ জারি করেছিলেন । যার যথেষ্ট পরিমাণে প্রমাণ বিদ্যমান।।
বর্তমানে উক্ত বিষয় নিয়ে মহামান্য সিভিল রিভিউ পিটিশন (১২৫/২০২২) চলমান রয়েছে।।
অদ্য ৩০/১০/২০০৮ ইং তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব জিল্লার রহমান CS দাগ নং ৫৬৫,৫৭৫ দাগের ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি মর্মে ভূমি সচিব মহোদয়কে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছিলেন। যার যথেষ্ট প্রমাণাদি বিদ্যমান রয়েছে।