রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন মীরহাজিরবাগ এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসীন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার ৭ই অক্টোবর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার মীরহাজারীবাগে নিজ বাসার সামনে মো. জাহাঙ্গীর (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছেন অত্র এলাকায় বসবাসকারী স্বজনরা ।
গত রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মীরহাজির বাগ এলাকায় আবু হাজী গলির ভিতরে এই ঘটনা ঘটেছে । পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে দ্রুত তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাহাঙ্গীর সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানা যায়, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় মীরহাজীরবাগে স্থানীয় আওয়ামী কাউন্সিলর হাবীবুর রহমান হাবুর একজন ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত মুখ ছিলেন। মৃত ফজর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন সম্পর্কে তার ভাতিজা রুবেল জানান, ঘটনার দিন রাত ১০ টার দিকে তাঁর চাচা নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন দোকান থেকে বাসার জন্য জরুরী টুকটাক বাজার সদাই করতে নিচে নেমে ছিলেন । ঐ সময় মুখে মুখোশ পরিহিত ৩ থেকে ৪ জন দুর্বৃত্ত তাঁর চাচা জাহাঙ্গীর হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে অন্যত্র তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভাতিজার রুবেলের কাছে চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন সম্পর্কে‘জানান যে ,আমার চাচা জাহাঙ্গীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন । রাজনৈতিক কারনে পূর্ব শত্রুতার জেরে মুখোশ পরিহিত ওই দুর্বৃত্তরা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে জানা যায় । জাহাঙ্গীর এর পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছে যে , আক্রমণকারী গ্রুপের মুখোশধারী যারাই এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তাদের কাউকেই তারা চিনতে পারেনি এবং কারা এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাও আমরা জানি না।’
জাহাঙ্গীরনগর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানিয়েছে , ‘যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার মিরহাজিরবাগ থেকে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত ও যখম অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে আনুসাঙ্গিক বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তিতে জাহাঙ্গীরের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য ।
আওয়ামী লীগ কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেনের নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে থানা থেকে উক্ত বিষয়ে অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।।