গাজীপুরের টঙ্গীতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশস কোম্পানি লিমিটেড- বিটিসিএলের গোডাউন থেকে চুরির সময় এলাকাবাসী গাড়ি আটকে দেওয়ার পর সেগুলো ভাঙাড়ির দোকনে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে টঙ্গী পূর্ব থানার এক এসআই এবং ওসির বিরুদ্ধে।
প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে এবং বিভাগীয় সিদ্ধান্তে তাদের দুজনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গোয়েন্দা শাখায় (উত্তর বিভাগে) সংযুক্ত করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) আলমগীর হোসেন বলেন, “জিএমপির কমিশনার স্যারের নির্দেশে তার সই করা অফিস আদেশে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি এস এম মামুনুর রশীদকে জিএমপির ডিবিতে (উত্তর বিভাগে) বদলি করা হয়েছে।
এসআই আরিফ হোসেনকেও প্রত্যাহার করে সেখানে সংযুক্ত করা হয়েছে, বলেন তিনি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি বাজার এলাকায় বিটিসিএলের গোডাউনে রাখা মালামাল চুরি করে কাভার্ড ভ্যানে (ঢাকা মেট্টো ন-১৩-৯১৯০) নিয়ে যাচ্ছিল একদল মানুষ। তখন স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কাভার্ড ভ্যান রেখে তারা পালিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই আরিফ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওইসব মালামাল ওসি মামুনের নির্দেশে টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি ভাঙাড়ির দোকানে ৪৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন এসআই আরিফ।
তিনি বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ ডায়েরিতে এসআই আরিফ শুধু কাভার্ড ভ্যান জব্দ দেখিয়ে ৩ অক্টোবর ভ্যানের মালিক আবুল কালাম লিটনের কাছে গাড়িটি হস্তান্তর করেন।
চোরাই মালামাল পরিবহন করা হয়েছে জানা সত্ত্বে ওসি গাড়ির মালিক বা চালকের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেননি; এমন কি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করেননি এসআই বা ওসি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা তৈরি হওয়ার পর জিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।
এসআই আরিফ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার সঙ্গে তার ও ওসির সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন, বলেছেন আলমগীর হোসেন।
গাজীপুর জেলা বিটিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুহাম্মদ নুরুউল্লাহ বলেন, “বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি, আমরাও খোঁজ-খবর নিচ্ছি।”