কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত বারহাট্টা উপজেলার আব্দুল বারী ড্যানির নেতৃত্বে ৪৫ জন উপদেষ্টা এখন নেত্রকোনা জেলা মডেল প্রেসক্লাব পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। দারুণ ব্যাপার কিন্তু। এই ৪৫ জনের মধ্যে অন্তত ২৯ জনের বিরুদ্ধে চুরি, চোরাচালান, ছিনতাই, জবর দখলের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য দলীয় তত্বাবধানে নেত্রকোনা প্রেসক্লাব পরিচালনার ক্ষেত্রে এটাই ব্যতিক্রম তা নয়, গত বছর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের তত্বাবধানে চলেছে প্রেসক্লাবটি। এতেই বোধহয় প্রেসক্লাব সদস্যরা বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
যাই হোক বিশাল উপদেষ্টা পরিষদের বহরের বাইরে মাত্র ২৬ জনের প্রেসক্লাব কার্যকরি কমিটি রয়েছে। এ ২৬ জনের কারো নামের সাথে মিডিয়ার নাম নেই, আছে গ্রাম কিংবা থানার নাম।
এটাও চমৎকার! প্রেসক্লাবে সবাই থাকবে, শুধু বেশি বেশি প্রচলিত মিডিয়াগুলোর প্রতিনিধিরা ঠাঁই পাবে না। কারণ, প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে সংগঠন, ক্লাব করা একটা ঝামেলার। তারা সামান্য অনিয়ম, চাঁদাবাজি, জবর-দখলদারিত্ব, চোরাচালান, তদবিরবাজি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, সেসবে সায় দেন না। এতে প্রেসক্লাবের জন্য কল্যাণকর (!) কোনো সহায়তা লাভ করা সম্ভব হয় না।
এভাবেই নেত্রকোনা মডেলের প্রেসক্লাব কি ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে?
লেখক, সিনিয়র সাংবাদিক, সংগঠক।
.