চট্টগ্রাম, বৈষম্য বিরোধী সম্পাদক-সাংবাদিক ঐক্যজোট এর আলোচনা সভা ২৯ নভেম্বর (২০২৪) শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর কাশবন হল রুমে চট্টবাণী সম্পাদক নুরুল কবির’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ব প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল’র সাবেক সদস্য, চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজের অভিভাবক সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ এডিটর ফোরাম’র কেন্দ্রীয় পরিষদ’র সভাপতি, দৈনিক আমাদের বাংলা ও দৈনিক আমাদের চট্টগ্রাম’র সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব’র সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর সাবেক সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত বলেন, সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সকল সাংবাদিক সমাজ কে ঐক্যবদ্ব হতে হবে। পেশাগত সাংবাদিকদের চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এর সদস্য হওয়া ন্যায্য অধিকার। সভায় প্রধান আলোচক জাতীয় প্রেস ক্লাব এর সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরীর বলেন দলীয় দাসত্বের সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। লুটেরা মাফিয়াদের অর্থে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা চলতে দেওয়া যাবে না। যারা দলীয় কর্মীর মতো ফ্যাসীবাদের দোষর ছিল তাদের কে প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠন থেকে বিতাড়িত করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া পরিচালক, দৈনিক আমাদের বাংলা বিশেষ প্রতিনিধি মুনীর চৌধুরী’র সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন- মোঃ সাইফুর রহমান সাইফুল, মোঃ আজম খান, এম আর তাওহীদ, জহির উদ্দিন বাবর, কে এম রুবেল, হাসানুল আলম, এ বি এম ইমরান, রাশেদুল আজিজ, আমান উল্লাহ আমান, তৈয়ব চৌধুরী লিটন, মোঃ নুরুল আবছার, হাসানুর জামান বাবু, শিবু মিত্র, নূর মোহাম্মদ, দিদারুল আলম বেলাল, সুমন সেন,মোঃ শহিদুল ইসলাম, ইফতেখার হোসাইন, নূরুল আজম, আ ন ম তাজওয়ার আলম, রাশেদুল ইসলাম, আলমগীর টিপু, ঝুমু আকতার, ইব্রাহিম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আহসানুল গণি চৌধূরী, এস এম মাহাবুবুল আলম, আলমগীর টিপু,মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আলাউদ্দিন, জান্নাতুল ফেরদৌস,উপমা চৌধুরী, মুন্নী আকতার প্রমুখ।
সভায় বিভিন্ন বক্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সমস্যা বহুদিন আগেই সমাধাণ হয়ে যেত। ছাত্রলীগ ও গণজারণ মঞ্চের কর্মী, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দোসর, ইসকনের চিন্ময় দাসের অনুচর গুপ্তচর প্রথম থেকেই বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের সাথীদের মধ্যে ঢুকে পড়ে, অতি বিপ্লবী সেজে, নেতাদের বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে মূল আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এখন এই গুপ্তচর অনুচর জেলা প্রশাসক গঠিত অন্তবর্তী কমিটির একজন কর্মকর্তা কাঁধের উপর সওয়ার হয়ে চাঁদাবাজী, একসাথে লাঞ্চ-ডিনার করছে। এই অনুচর-গুপ্তচর এবং এদের আশ্রয় প্রশ্রয় দাতাদের সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ ও বর্জন না করলে প্রেসক্লাব সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবেনা। বক্তাগণ বলেন, আমরা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জনাবা ফরিদা খানমকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটি থেকে পদত্যাগ করে ৬ই আগস্ট গঠিত অন্তবর্তী কমিটির আহবায়কদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের অনুরোধ করেছিলাম মামলার ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য। তিনি সঠিক বিষয় না বুঝলে সেখানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোনে শরীক সম্পাদক ও সাংবাদিকদের কোন দায় থাকবে না।