সারাদেশে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা, আঘাত, হেনস্থা এই পট পরিবর্তনের কোন লক্ষণই পরিলক্ষিত নয়।
আসলে সাংবাদিকদের আঘাত হেনস্থা, লাঞ্ছনায় বিপদে নির্যাতনের বিপরীতে সাংবাদিকদেরই প্রতিরোধ, প্রতিকার গড়ে তুলতে হবে।
তাছাড়া দায়মুক্তির চাটুকারময় মহাবানীগুলো সহকর্মীর বিপন্নতায় প্রতিবাদ জানানোর ভাষা ও বচন এর নির্জীব প্রয়োগ গুলো বদলানো উচিত।
আমি মনে করি এখন তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনের সময় নয়। এখন সময় প্রতিরোধ, প্রতিঘাত, প্রতিকারের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।
দৃঢ় মনোনয়নসহ নির্যাতিত সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় কঠিন প্রতিরোধের বেষ্টনী গড়ে তোলা।
স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব নিয়ে যথাযথ করণীয় তা দ্রুততার সাথে কার্য সম্পাদন করা।
সাংবাদিক হামলা, নির্যাতনকারী অপরাধীদের অপরাধের তথ্যগুলো সচ্ছ প্রমান সহ লাগাতার ভাবে গণমাধ্যম জগতের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ করা।
আইন, প্রশাসন, সরকার ও দেশবাসীর সামনে অভিযুক্ত অপরাধীদের কুকর্মের বিবরণসহ স্পষ্ট তথ্য প্রমাণ করে আইনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে প্রাপ্য সাজা নিশ্চিত করে তাদেরকে কারাগারবাসী করা।
যতক্ষণ পর্যন্ত আইনের কাছে তাদেরকে অপরাধী, দোষী সাব্যস্ত করা না যাবে ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের লাগাতার ভাবে অপরাধ প্রতিবেদন প্রচার করতে হবে ।
এই আঙ্গিকে দুই একজন সাংবাদিক নির্যাতকের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে হবে।
তবেই সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা, আঘাত, হেনস্থা কমে যেতে পারে।
লেখক
প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স ফোরাম, সিনিয়র সাংবাদিক, তথ্য সংগ্রহক ও তথ্য বিশ্লেষক।