তারা সিন্ডিকেট গড়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাদের হয়রানি থেকে পাচারে বাধাদানকারীরাও রেহাই পায়নি। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলেও সেই মামলায় মানবপাচারে বাধাদানকারীর নাম থাকায় সুষ্ঠু বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান জানান, তদন্ত চলছে, শিগগির চার্জশিট দেয়া হবে।
সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ২০ অক্টোবর রাজধানীর বনানী থেকে সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
মানবপাচারে বাধাদানকারীর নাম মামলায়: এমিরটেস এয়ারলাইন্সের সাবেক সিনিয়র ওয়ারডেন কর্মকর্তা মো: মাহাবুব মোর্শেদ মোবাইলে জানান, ২০২০ সালের ৬ আগস্ট আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে চার ব্যাক্তি এসে ইতালির জালি রেসিডেন্স কার্ড দেখিয়ে ২০ জন অবৈধ যাত্রীকে এমিরটেস এয়ারলাইন্স দিয়ে বিদেশ যেতে সহায়তার প্রস্তাব দেয়। তিনি অনিহা প্রকাশ করলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এ নিয়ে ২০২০ সালে একাধিক থানায় জিডি করা হয়। ৬ আগস্ট বনানী থানায় জিডি করা হয়। এরআগে মার্চ মাসে ফোন করে তাকে হত্যার হুমকি দেয় মানবপাচারে জড়িত ওই সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় জিডি করা হয়েছে। রামপুরা থানায়ও একটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে মাহাবুব মোর্শেদের উপর শারীরিক হামলা, গুমের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এতে জীবন বাচাতে তিনি বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে দেশত্যাগ করেন। এখন প্রশাসন নিজেদের বাচাতে তার নামে মামলা দিয়ে তাকে ও পরিবারকে হয়রাণী করছে।