জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ আজ সোমবার প্রকাশিত হয়নি। এরই মধ্যে আজ প্রধান কার্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ‘মালিকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অফিসের ফটকে লাগানো এক নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মীরা অফিসের নিচে সমাবেশ করেছেন।
১৯৯২ সালে ভোরের কাগজের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়। আজ সোমবার ভোরের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকারের সই করা নোটিশে বলা হয়, ‘ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬-এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা ২০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।’
ভোরের কাগজের সাংবাদিকদের একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন ধরেই পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কর্মীদের ছাঁটাই করা হতে পারে—এমন গুঞ্জন-আশঙ্কা শোনা যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছিল, বন্ধ করলে ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী তাঁদের যাবতীয় পাওনা যেন পরিশোধ করা হয়। আর সাংবাদিকদের রাখতে হলে যাঁকে যেদিন থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেদিন নিয়োগপত্র দিয়ে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বকেয়াসহ নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে হবে। কিন্তু সে দাবি মানা হচ্ছিল না।
আগামীকাল পত্রিকা বের হবে কি না জানতে চাইলে একজন সাংবাদিক বলেন, আজ ছাপা হয়নি। সাংবাদিকেরা রাস্তায়। তাহলে আগামীকাল কীভাবে পত্রিকা বের হবে? আর যদি কোনোভাবে বের করার চেষ্টা হয়, সেই প্রক্রিয়ায় তাঁরা নেই।