১ম পর্ব
মৌলভীবাজারে ২৮ বছর বয়সী যুবতী মহিলার জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা চিকিৎসক ডা: ফারজানা হক পর্ণার বিরুদ্ধে।
মৌলভীবাজার পৌর শহরের সৈয়ারপুর এলাকার মাম্পী রাণী দে ও তার স্বামী অনিমেষ এই অভিযোগ করেন। এবিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি চিকিৎসক ডা: ফারজানা হক পর্ণা বলেন, “আমি রিক্স নিয়ে রোগীকে বাঁচিয়েছি। সুস্থ্য হয়ে বাসায় গিয়ে কার পরামর্শে আমার নামে বদনাম করছেন আমি বুঝতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, অপারেশন চলাকালিন সময়ে হঠাৎ রোগীর ব্লিডিং শুরু হলে রোগীকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালের স্টাফরা ব্লাড দেন। তখন ডাক্তার আবু বক্কর মোস্তফাও ছিলেন। এক পর্যায়ে আমরা বুঝতে পারলাম জরায়ুতে সমস্যা থাকায় ব্লিডিং হচ্ছে। পরবর্তীতে ব্লিডিং বন্ধ করতে এবং রোগীকে বাঁচাতে হলে জরায়ু কাটতে হবে । তখন রোগীর স্বামীর অনুমতি ও হাসপাতালের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে জরায়ু কাটি। রোগীর স্বামী তাকে সিলেট নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রোগীকে আমি সিলেট যেতে দেইনি। আমি রোগীকে সেইফ করার জন্য আন্তরিকতার সহিত অপারেশন করিছি। আমার কাজে কোনো দুর্বলতা ছিল না।
এই বিষয় জানতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক কাছে সরাসরি গেলে উনাকে পাওয়া যায় না ।
এবিষয় ছাড়া এর পূর্বে কয়েকবার ডাঃ ফারজানা হক পর্ণার বিরুদ্ধে চিকিৎসা অবহেলা ও অপারেশনে ত্রুটির অভিযোগ হয়েছে।
এব্যাপারে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আসছে ২য় পর্বে