1. my@banglakhobor.online : দৈনিক বাংলা খবর : দৈনিক বাংলা খবর
  2. info@www.banglakhobor.online : বাংলা খবর :
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
মৌলভীবাজারে ‘আজ’ ফ্যাসিবাদদের চক্রান্তের অপচেষ্টা প্রতিহতের দাবীতে বিএনপির সমাবেশ ডিসি সম্মেলনে যে যে নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা মৌলভীবাজারে নেশাগ্রস্ত বাবার হাতে শিশু সন্তান খুন, ঘাতক বাবাকে আটক করেছে পুলিশ -১ম পর্ব বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আগে করতে হবে: ড. মাহমুদুর রহমান কুড়িগ্রাম উলিপুরে পারিবারিক কলহের জেরে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধের আত্মহত্যা সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেনসহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ ৩৫ মামলার আসামি, চিহ্নিত মাদক কারবারি আব্বাসসহ তিনজনকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ পল্লবী এলাকায় বিদেশী পিস্তল, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো জুলাই সনদ তৈরি করা : প্রধান উপদেষ্টা

আ.লীগ নেতা কিবরিয়া হত্যায় জড়িত হাসিনার খুব কাছের তিনজন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যায় শেখ হাসিনার খুব কাছের তিনজন জড়িত ছিলেন বলে জানান তার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। আজ ২৭ জানুয়ারি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ২০ বছর। ওই হত্যার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যুগান্তরকে এমন ভয়ানক তথ্য দিয়েছেন তিনি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, ২০ বছর পার হয়ে গেছে আমার বাবাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার শরীরে প্রায় ৪০০ স্পি­ন্টার বিদ্ধ হয়। একটি ভাঙা অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তিনি পথে মারা যান। আমরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষা করছি। আওয়ামী লীগ আমলে কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। কারণ আওয়ামী লীগের অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। এটি আমরা জানতে পেরেছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ এমপি আবু জাহির, মজিদ খান এবং ডা. মুশফিক চৌধুরী জড়িত ছিলেন। হত্যার জন্য টাকা দিয়েছিলেন সালমান এফ রহমান। বিভিন্ন কারণে আমার বাবার সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল। সালমান এফ রহমান তার ব্যাংকের দুর্নীতি, শেয়ার মার্কেটের কেলেঙ্কারির জন্য আব্বার ওপর ক্ষেপে ছিলেন। সে কারণেই তিনি পুরো ফান্ডিং করেছেন। তারা সবাই শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক। তাই সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। সুষ্ঠু বিচার হয়নি।

রেজা কিবরিয়া বলেন, একটি অসমাপ্ত তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার হতে পারে না। আমরা এখন আশা করছি এর বিচার হবে। তবে এ সরকারের সময় নয়। ভবিষ্যতে সুষ্ঠু বিচার হবে। আমরা সবাই সে বিচারের অপেক্ষায় রইলাম।

 

সূত্রমতে, দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো আলোর মুখ দেখছে না। নানা জটিলতায় বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তই হয়নি বলে শুরু থেকে দাবি করে আসছে নিহতের পরিবার। তাদের অভিযোগ একটি অসমাপ্ত তদন্তের মাধ্যমে বিচার করার চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এতে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে প্রকৃত অপরাধীদের-এমন দাবি জানিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা থাকলেও এখন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারটি আলোর মুখ দেখতে পারে বলে মনে করছেন নিহতদের পরিবার ও স্থানীয়রা।

 

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট পাঁচজন নিহত হন। এতে আহত হন ৪৩ জন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। কয়েক দফা তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় আট বছর আগে। কিন্তু শুরু থেকেই চার্জশিট সঠিক নয় বলে দাবি করছেন শাহ এএমএস কিবরিয়ার পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত