অস্থির, অব্যবস্থাপনা আর গুজবের ভয়ংকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সর্বত্রই অস্থিতিশীল, সংঘাতময় পরিস্থিতি। গুজব গজবে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রতিনিয়ত তটস্থ থাকছেন নাগরিক সমাজ।
নিছক গুজবের অস্থিরতা থেকেও নাগরিকদের স্বস্তি দিতে চরম ব্যর্থ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ব্যর্থ সংঘাতময় কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে। তারাই দেশ সংস্কার করবে, অর্থনৈতিক ভিত গড়বে, পাল্টে দিবে, বদলে ফেলবে – এসব আর পাগল ছাগলেও বিশ্বাস করছে না। তবে আশাবাদী মানুষ হিসেবে আমি এখনো মুখে মুখে বিশ্বাসটুকু রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি।
তারকা খচিত কাগুজে উপদেষ্টাদের বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতা দেখেই বুঝে নিয়েছিলাম তাদের দৌড় কত দূর…
বিকলাঙ্গ, মেরুদন্ডহীন, কোমরভাঙ্গা মানুষ যতই শিক্ষিত হোক, দক্ষতা প্রদর্শনে শূন্যতায় থাকে। তারা দেশ, সমাজ এমনকি নিজেদের কাছে নিজেরাই বোঝা। প্রতিবন্ধী স্টাইলের ধারাবাহিক ন্যুব্জতায় এখন আশাহত বাংলাদেশ।
কথার ফুলঝুরিতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে কোটি কোটি মানুষকে আশাবাদী বানানো হয়েছিল। সবই ছিল সস্তা যাদুর বস্তা পচা অভিনয়, ভিন্ন আদলের প্রতারণা।
উপদেষ্টা মহোদয়গণ, আমরা আপনাদের কর্মকাণ্ডে আর খুশি থাকতে পারছি না- প্লীজ, বোঝার চেষ্টা করুন।
হাজারো বছরের কষ্ট কান্না ললাটে আঁকা বাঙালির বুকে চাপানো আছে যন্ত্রণার জগদ্দল পাথর। তবু বাঙালি হাসে। তারা কষ্ট-আনন্দেও হাসে, ধ্বংসেও হাসে এমনকি লজ্জাতেও হাসে মুখ টিপে!
বাঙালির এমন আজব আজব চরিত্র দেখেই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। আমরা ভাবি, ঈর্ষণীয় কোনো সফলতা দেখে অবাক হচ্ছে তারা।
জানি, এসব কথায় বেজায় ক্ষেপে উঠবেন একটা শ্রেণি। ‘লেখাপড়ার সাথে অস্বাভাবিকতার বিশেষ ভং ধরা’ যোগ করে হয়ে ওঠা আঁতেলরা হয়তো বলবেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের এমনই মহাস্তরে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ- যা আধা শিক্ষিত জাতিকে বলে বুঝানো সম্ভব নয়।
আমি বলবো, যে মহান কর্মযজ্ঞ (!) দেশ ও জনগণকে স্বস্তি দিতে পারে না, পদে পদে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করে – সেটাই হচ্ছে আসল ফ্যাসীবাদিতা।
লেখক,
সাইদুর রহমান রিমন, সিনিয়র সাংবাদিক, সংগঠক।