দক্ষিণ রাউজান পূর্ব গুজরা কান্তচৌকিদার বাড়ি শিব সংঘের উদ্যোগে মহা বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ০৩ ফেব্রুয়ারি, বিদ্যা, জ্ঞান ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনায় আজ সারা দেশজুড়ে উদযাপিত করেন।
সরস্বতী পূজা হলো জ্ঞান, বিদ্যা ও সংগীতের দেবী মা সরস্বতীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের দিন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসবগুলোর মধ্যে এটি একটি। সাধারণত মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দু ধর্মমতে, সরস্বতী দেবী ব্রহ্মার মানসকন্যা এবং জ্ঞান, সংগীত, শিল্পকলা ও বাগ্মিতার দেবী। তিনি শুভ্রবস্ত্র পরিহিতা, এক হাতে বীণা, অন্য হাতে বেদপুস্তক ও অক্ষর মালা ধারণ করেন। তাঁর বাহন হল রাজহাঁস, যা বিচক্ষণতার প্রতীক।
সরস্বতী পূজার দিন সকালে ভক্তরা স্নান করে, হলুদ বা সাদা পোশাক পরিধান করে, দেবীর সামনে কলা গাছের বেদি তৈরি করে পূজার আয়োজন করেন। শিক্ষার্থীরা তাদের বই-খাতা দেবীর চরণে রেখে আশীর্বাদ গ্রহণ করে, “ওঁ সরস্বত্যৈ নমঃ” মন্ত্র উচ্চারণ করে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সরস্বতী পূজা বিশেষ গুরুত্বের সাথে পালিত হয়। শিক্ষার্থীরা দেবীর আশীর্বাদ লাভের জন্য বই-খাতা এবং সংগীত ও শিল্পকলা সামগ্রী উৎসর্গ করে। শিব সংঘ গীতা শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় নৃত্য, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গীতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সরস্বতী পূজা কেবল ধর্মীয় আচার নয়, এটি জ্ঞানের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দেবীর কৃপায় শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আলো লাভ করে এবং তাদের বিদ্যাচর্চা সফল হয়। সরস্বতী পূজা হিন্দু সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও শিল্পকলার প্রসারে অনুপ্রেরণা জোগায়। এই পূজা বিদ্যা, মেধা ও সৃজনশীলতার প্রতীক হিসেবে যুগ যুগ ধরে পালিত হয়।